সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
সন্তান পেটে রেখেই সেলাই

মাকে ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যমজ সন্তানের একটিকে পেটে রেখে সেলাইকারী চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ঘটনার শিকার খাদিজা আক্তারকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে ক্লিনিক মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। রায়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে আদালতের ওই আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে। এ সময় আদালতে শুনানি করেন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন নজরে আনা আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। আর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের পক্ষে ছিলেন আবদুল মতিন খসরু। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক হোসনে আরা বেগমের পক্ষে ছিলেন এ কিউ এম সোহেল রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। এর আগে ২৯ অক্টোবর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কুমিল্লার সিভিল সার্জন, কুমিল্লার গৌরীপুরের লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এবং অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরাকে তলব করে। তাদের ৭ নভেম্বর হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আলগিরচর গ্রামের প্রবাসী আউয়াল হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে গৌরীপুরের লাইফ হসপিটাল ও ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি একটি মেয়েসন্তান জন্ম দেন। সেই সময় অন্তঃসত্ত্বার স্বজনেরা খাদিজার পেটে যমজ বাচ্চা আছে জানালেও অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বলেন, খাদিজার পেটে বাচ্চা একটিই। অন্যটি টিউমার। চার দিন ভর্তি রাখার পর তাকে ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার কয়েক দিন পর খাদিজার ফের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ১৫ দিন পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, খাদিজার পেটে আরেকটি বাচ্চা রয়েছে। ২৩ অক্টোবর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৫ অক্টোবর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে একটি মৃত ছেলেসন্তান বের করা হয়।

সর্বশেষ খবর