শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় চার প্রদর্শনী

শিল্পে বড় সংকট গ্যাস বন্দর সমস্যা : তোফায়েল আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় চার প্রদর্শনী

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে সিরামিক ও গার্মেন্ট শিল্পসংশ্লিষ্ট মেশিনারিজের চার প্রদর্শনী। গতকাল এর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গ্যাস ও বন্দর সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। ভোলায় প্রচুর গ্যাস থাকায় অনেক কোম্পানি সেখানে কারখানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু হলে এ সমস্যার সমাধান হবে। আর বন্দর সমস্যা সমাধানের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তিনি আরও বলেন, ‘সিরামিক এক্সপো প্রমাণ করে আমরা ধীরে ধীরে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হচ্ছি।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ। গ্রিন কারখানার প্রযুক্তি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী। এতে বাংলাদেশ, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তুরস্কের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে রেড কার্পেট। মেলার শুরুতে গতকাল গিয়ে দেখা গেছে, গার্মেন্ট কারখানা পরিবেশবান্ধব হিসেবে রূপান্তর করতে বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে অংশ নিয়েছেন বুয়েটেক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএর প্রযুক্তিবিদরা। বাংলাদেশের গার্মেন্টশিল্পকে বিশ্ববাজারে দক্ষ ও প্রতিযোগিতার শীর্ষে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিজিএমইএ স্টলকর্মীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ৪৪টি কারখানা গ্রিন কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কারখানা বিশ্বের শীর্ষ ১০টি কারখানার অন্যতম। এ ছাড়া প্রদর্শনীতে সর্বশেষ প্রযুক্তি, মেশিনারিজ, কেমিক্যাল, সুতা, কাপড় প্রদর্শিত হচ্ছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, চীন ও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সুতা এবং ওভেন ও নিটশিল্পের জন্য উভয়ের মিশ্রণের সর্বাধুনিক সংগ্রহ তুলে ধরছে। প্রদর্শনীতে আগত দর্শনার্থীদের সামনে তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম কাপড়ের নতুন এবং উদ্ভাবনীমূলক মিশ্রণ উপস্থাপনও করা হচ্ছে।

 প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বাধুনিক সুইং, নিটিং, অ্যামব্রয়ডারি, লন্ড্রি, ফিনিশিং, ডাইং, ক্যাড/ক্যাম, প্রিন্টিং কাটিং, স্প্রেডিং মেশিনারি তুলে ধরবে।

প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু মেশিনারি চালু করা হবে। অন্যান্য দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ, মোড়কসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিস্তৃত সংগ্রহ প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ, প্যাকেজিং এবং লেবেল, জিপার, ট্যাগ, ট্যাপ, থ্রেড, রিবন, বাটন, রিভেট, লেইস, হুক, ট্রান্সফার ফিল্ম, পেপার, ইন্ক ইত্যাদিসহ সংশ্লিষ্ট মেশিনারি তুলে ধরছে। তিন দিনব্যাপী সিরামিক শিল্প প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা গেছে, চমৎকার সব ডিজাইনের সিরামিক পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। রপ্তানিযোগ্য এসব পণ্য ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এসব পণ্য তৈরিতে জাপান, জার্মানির প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীতে শুধু দর্শনার্থী, উদ্যোক্তারাই নন; বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসছেন। মেলায় থাকবে সিরামিক বিষয়ে বিভিন্ন সেমিনার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশীয় সব সিরামিক কোম্পানির বাইরে ১৩টি দেশের ৬০টি কোম্পানির বিশ্বখ্যাত ৫৪টি ব্রাঞ্চ তাদের সিরামিকের কাঁচামাল, মেশিনারিজ, প্রযুক্তি নিয়ে মেলায় অংশ নিচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর