বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সেই গণতন্ত্র এই গণতন্ত্রের তফাত নেই

—— কাজী ফিরোজ রশীদ

সেই গণতন্ত্র এই গণতন্ত্রের তফাত নেই

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, তখনকার গণতন্ত্র আর বর্তমান গণতন্ত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তখন রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারপ্রধান ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উভয় সরকারের       প্রধানই একক ক্ষমতার মালিক। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে ধৈর্য ও সহনশীলতার পথ ধরে চলতে হয়। কিন্তু আমাদের এখানে এর অভাব আছে। ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুট, আইনশৃঙ্খলার অভাব এমন গণতন্ত্র আমাদের সময়ে ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সেদিন ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সামরিক ব্যক্তির শাসন বাতিল করে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আজকের গণতন্ত্রের যে সুযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র ও জনগণ ভোগ করছে, এর সূচনা করেছিলেন এইচ এম এরশাদ।’ অনেকে আজকের দিনটাকে স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করেন—বিষয়টা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে অনেক দল, অনেক মতের মানুষ রয়েছে। দেশে নানা দিবস রয়েছে। যে যার মতো দিবস পালন করেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘মহামান্য উচ্চ আদালত আমাদের সে সময়কার শাসনামলকে গণতান্ত্রিক এবং বৈধ সরকার হিসেবে রায়ে উল্লেখ করেছে। পরবর্তী সময়ে গণআন্দোলন এবং জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গণতান্ত্রিক পথ সুগম করার লক্ষ্যে এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমাদের তখনকার কেবিনেট মিটিং ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, আজকের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন এইচ এম এরশাদ। সেদিন থেকেই শুরু হয় গণতন্ত্রের দীর্ঘ পথচলা। সেদিন গণতন্ত্রের যে ট্রেনের শুভ উদ্বোধন হয়েছিল, তা এখনো চলছে। পাঁচ বছর পর পর স্টেশনে থামে এ ট্রেন। যাত্রীরা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় শামিল হন। সংসদ সদস্যরা ট্রেনে ওঠানামা করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বর্তমান ট্রেন চলবে। ২০৪১ সালে এ ট্রেন অনেক পথ এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্রের এই সুবাতাস যত দিন দেশে অব্যাহত থাকবে, তত দিন এইচ এম এরশাদের নাম মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এ দিনটিকে গণতন্ত্র মুক্ত দিবস হিসেবে প্রতিবছর পালন করে আসছে। আজও সারা দেশে দিবসটি দলের নেতা-কর্মীরা পালন করবেন। রাজধানীতেও এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

সর্বশেষ খবর