বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

অগ্রগতি হলেও গণতন্ত্র পূর্ণতা পায়নি

—— অসীম কুমার উকিল

অগ্রগতি হলেও গণতন্ত্র পূর্ণতা পায়নি

’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে উদ্দেশ্য নিয়ে ’৯০-এর আন্দোলন সফল হয়েছিল তার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে তা আজও পূর্ণতা পায়নি। ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূলোৎপাটন সমূলে এখনো উৎপাটন করতে পারিনি। সংবিধানবহির্ভূত পদ্ধতিতে এখনো নির্বাচনের দাবির পদক্ষেপে আমরা শঙ্কিত। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তিনি। অসীম কুমার উকিল বলেন, গণতন্ত্র শতভাগ পূর্ণতা না পেলেও স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে আরও বিকশিত করার যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজ শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাসমুক্ত, বিচার বিভাগ স্বাধীন। নির্বাচন কমিশন আগের তুলনায় আরও শক্তিশালী। যে স্বপ্ন নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম সেই স্বৈরশাসক আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এখন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠিত হচ্ছে। জনগণের প্রতিনিধি রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। রাতের আঁধারে জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মতো আর কেউ জোর করে ক্ষমতায় বসতে পারেনি। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা নিতে আর কোনো রাজনৈতিক দল গঠন হয় না। রাতের আঁধারে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা হয় না। ক্যাম্পাসে আর গোলাগুলি হয় না। ছাত্রদের হাতে বই-খাতা, কলম থাকে। অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনতে হয় না। গণমুখী শিক্ষানীতি পেয়েছি। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধর্মান্ধতা-সামপ্রদায়িক শক্তি শকুনের মতো খামছে ধরেছে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দিকগুলোর শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। গণতন্ত্রমুক্তির চেতনা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থান স্বৈরাচার সরকারের পতন নিশ্চিত করেছিল। সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পায়। এ আন্দোলন ছিল আমাদের জন্য অহংকারের। এই অধ্যায় গর্বের।

সর্বশেষ খবর