বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুলছে সফটওয়্যার পার্ক

সাইফুল ইসলাম, যশোর

খুলছে সফটওয়্যার পার্ক

যশোরের অন্যতম বড় সরকারি প্রকল্প শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ধোয়ামোছার কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ পার্কটির। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যশোর অংশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আইটি প্রফেশনালরা অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে আমন্ত্রণপত্র বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের প্রথম সফটওয়্যার পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিবিড় তদারকিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণকাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পার্কের ১৫ তলাবিশিষ্ট এমটিবি (মাল্টি ট্যানেন্ট বিল্ডিং) ভবনের সব ফ্লোর উদ্যোক্তাদের ব্যবহারের জন্য এখন প্রস্তুত। ইতিমধ্যে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অগ্নি সিস্টেমস, সাজ টেলিকম, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, অগমেডিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড, অন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, কাজী আইটি সেন্টার, ইনফোটেক, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাক্য, ডিজিকন টেকনোলজিস, এম্বার আইটি লিমিটেডের মতো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে বরাদ্দ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করায় সরকার আরও একটি এমটিবি ভবন করার চিন্তা ভাবনা করছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় জায়গাও রয়েছে পার্কটিতে।  শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, যশোর শহরের নাজির শংকরপুরে প্রায় সাড়ে ৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত স্বপ্নের এই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫ তলাবিশিষ্ট এমটিবি ভবন ছাড়াও রয়েছে ১২ তলাবিশিষ্ট থ্রি স্টার মানের ডরমেটরি ভবন, অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং। সব বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট কাঠামোতে (স্টিল ও কংক্রিট)। আইটি উদ্যোক্তাদের জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে ফাইবার অপটিক কানেক্টিভিটি। আর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩৩ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের সঙ্গে রয়েছে দুই হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর। এ ছাড়া ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের ব্যাকআপ রাখার জন্য এ পার্কে স্থাপন করা হয়েছে ডিজাস্টার রিকভারি ডাটা সেন্টার। প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খুলনা বিভাগের ১০ জেলাকে টার্গেট করেই যশোরে দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি স্থাপন করা হয়েছে। কমপিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রি-ল্যান্সিং, কল সেন্টার, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট— এই চারটি ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর মাধ্যমে দেশে আইটি শিল্প গার্মেন্টস শিল্পের বিকল্প হিসেবে বিকশিত হবে এবং সরকারের ‘ভিশন ২০২০-২১ : ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে অনন্য ভূমিকা রাখবে। ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে একটি বিশ্বমানের আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর