বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
রংপুরে উন্নয়ন ভাবনায় তিন মেয়র প্রার্থী

কোনো এলাকা নয় অবহেলা : ঝন্টু

আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচন। সবার দৃষ্টি এখন মেয়র প্রার্থীদের দিকে। উন্নয়ন নিয়ে কী ভাবছেন তারা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমাদের রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহজাদা মিয়া আজাদ

কোনো এলাকা নয় অবহেলা : ঝন্টু

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সদ্য বিদায়ী মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, জীবনের পড়ন্ত বেলায় নিজের জীবনকে জনগণের সেবায় উৎসর্গ করতে চাই। আবার নির্বাচিত হলে নগরীর কোনো এলাকা অবহেলিত থাকবে না। প্রথম মেয়র হয়ে পাঁচ বছর সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ সিটির বর্ধিত ১৫১ বর্গকিলোমিটারই পল্লী এলাকা। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদের দুই বছরই গেছে শুধু চিঠি চালাচালি করতে। উন্নয়ন করার সময় পেয়েছি তিন বছর। এ স্বল্প সময়ে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ অনুযায়ী সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ঝন্টু বলেন, নগরের ১৬ কিলোমিটার প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। ১ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৪০৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়েছে। পুরনো ২৭৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার, ২৬ কিলোমিটার সড়ক আরসিসি ও এইচবিবি করা হয়েছে। আরও অনেক পুরনো সড়ক সংস্কারের কাজ চলমান আছে। চলমান কাজগুলো সম্পন্ন হলে সিটি করপোরেশনের কোনো রাস্তা ভাঙাচোরা থাকবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯০ কিলোমিটার নতুন নর্দমা নির্মাণ এবং ৮ কিলোমিটার পুরনো নর্দমা সংস্কার করা হয়েছে। ফলে এখন আর জলাবদ্ধতা হয় না। নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে চারটিতে একটি করে বহুতল নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। নগরবাসী পুনরায় সেবা করার সুযোগ দিলে বাকি ওয়ার্ডগুলোতে একটি করে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ঝন্টু বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি নগরীর চারদিকে কানেকটিং সড়ক, ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামাসুন্দরী খালের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণ ও খালটির সংস্কার কাজে হাত দেব। এ কাজে ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চলতি বছরের জুনে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, নগরের কোনো সড়ক কাঁচা থাকবে না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বর্ধিত এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। এসব এলাকার মানুষ এখন পল্লী বিদ্যুতের রেটে অতিরিক্ত বিল দিচ্ছেন। এ বৈষম্য দূর করা হবে। আমি বিশ্বাস করি, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিলোত্তমা নগরী গড়তে নগরবাসী সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন এবং নৌকা প্রতীকে আস্থা রাখবেন।

সর্বশেষ খবর