জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনকে একটি পরিকল্পিত আধুনিক নগর নির্মাণের স্বপ্ন দীর্ঘদিনের।

নানা কাজের জন্য মানুষকে সিটি করপোরেশনে আসতে হয়। মেয়র নির্বাচিত হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অফিস তৈরির মাধ্যমে জনগণের সব সুবিধা তাদের দোরগোড়ায় নিয়ে যাব। যাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকে সব কাজ সম্পন্ন করা যায়। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোস্তফা বলেন, বর্তমানে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই করুণ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার এবং কাঁচা সড়কগুলো পাকা করা হবে। বর্ধিত এলাকার সঙ্গে মূল নগরীর উন্নয়ন বৈষম্য দূর করা হবে। ড্রেনেজ, জলাবদ্ধতা দূর করতে চাই। রংপুর নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট। আর যানজটের অন্যতম কারণ অবৈধ অটোরিকশা। জনগণ লাঙ্গলের পক্ষে রায় দিলে অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ করা হবে। বেকারত্ব লাঘবের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। গ্যাস না থাকায় এখানে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে না। মেয়র নির্বাচিত হলে রংপুরে গ্যাস আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। গ্যাস আনতে পারলে শিল্পবিপ্লব ঘটবে এখানে। তিনি বলেন, মধ্য ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা যাতে মানসম্মত শিক্ষা লাভ করতে পারে সে জন্য মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে উদ্যোগ নেব। শ্যামাসুন্দরী খালের দুই ধার দখল হয়ে গেছে, তা উদ্ধার করা হবে। খালটি সংস্কার করে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।  মোস্তফা বলেন, মাদকের বিষয়ে আমার অবস্থান থাকবে জিরো টলারেন্স। খেলাধুলার জন্য প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে ১১টি মাঠ তৈরি করা হবে। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য রংপুর সদর হাসপাতাল চালুর বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাব। নগরের বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্য ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে। সিটি করপোরেশনে কাজে এসে কোনো মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে নজরদারি থাকবে।