বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

এডিসি-ইউএনওকে হাই কোর্টে তলব

জামিনে মুক্ত সিভিল সার্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের সঙ্গে হাতাহাতি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে তলব করা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে তাদের হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকেও সেদিন আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট  বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাজা দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার লক্ষ্মীপুর ডিসি কলোনির ভিতরে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশ নিয়ে সালাহ উদ্দিন শরীফ ও শেখ মুর্শিদুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অসদাচরণের দায়ে তাত্ক্ষণিকভাবে সালাহ উদ্দিন শরীফকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। গতকাল সালাহ উদ্দিন শরীফ লক্ষ্মীপুর জেলা হাকিম আদালত থেকে জামিন নেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল  হোসেন নিয়াজী এবং আশফাকুর রহমান গতকাল রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

জামিনে মুক্ত : লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাস কারাদণ্ডাদেশের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিনে কারামুক্ত হলেন সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন শরীফ। গতকাল বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক মীর শওকত হোসেন ৫ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারাগার থেকে স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে আসেন সিভল সার্জন কার্যালয়ে। এ সময় সাবেক সিভিল সার্জন তার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় এবং সিনিয়র চিকিৎসক যেন অসম্মানিত ও অপমানিত না হন। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টের নামে যে তৎপরতা চালানো হচ্ছে অবশ্যই এটি বন্ধ করাসহ যারা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. নিজাম উদ্দিন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. হামিদ প্রমুখ। ডা. সালাহ উদ্দিনের আইনজীবী ছিলেন রাসেল মাহমুদ মান্না।

সর্বশেষ খবর