বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শীতলপাটির প্রদর্শনী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শীতলপাটির প্রদর্শনী

বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন শীতলপাটি। বুননের মাধ্যমে পাটিতে পাখি, ফুল-লতা-পাতা বা অন্যান্য জ্যামিতিক নকশা, মসজিদ, চাঁদ, তারা, পৌরাণিক কাহিনী চিত্র, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, শাপলা, পদ্ম ও কখনো প্রিয়জনের নাম-কবিতা পাটিকে অনন্য মাত্রা দান করে। অপরূপ বুননকৌশলের কারণে এটি শিল্পরূপ লাভ করে। এই ঐতিহ্য বিদেশের মাটিতেও সমাদর লাভ করেছে। সেই ঐতিহ্যকে নাগরিক জীবনের বাসিন্দাদের সামনে তুলে ধরার প্রত্যয়ে শীতলপাটির প্রদর্শনীর  আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর। সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতলপাটি তৈরি হলেও এই পাটির জন্য প্রসিদ্ধ সিলেট অঞ্চল। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এরই মধ্যে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে ইউনেস্কোর ‘ইন্টারগভারনমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেইফ গার্ডিং অব দ্য ইন্টেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ শীর্ষক অধিবেশনে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ‘দ্য ইন্টেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’  হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাপতি শিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান এবং লোকশিল্প গবেষক চন্দ্র শেখর সাহা। এতে স্বাগত ভাষণ দেন জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শীতলপাটির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই শিল্পের নতুনত্ব এনে তাকে রক্ষা করতে হবে। ইউনেস্কো কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ওঈঐ আয়োজিত সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে বিশ্বের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ২০১৭ হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত বলে তিনি জানান।

সভাপতির ভাষণে শিল্পী হাশেম খান বলেন, দেশের কারুশিল্পীদের রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। শুধু স্বীকৃতি পেলেই হবে না, এ শিল্পের ভবিষ্যৎ ও নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর