সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

পরিবেশ দূষণ বড় বাধা উন্নয়নে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুধু বায়ু দূষণের কারণেই বাংলাদেশ প্রতি বছর এক শতাংশ পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি হারায় বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, সব ধরনের দূষণ পরিবেশে যে ক্ষতি করে- তা টেকসই উন্নয়নের পথে এখন বড় বাধা।

গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের পরিবেশগত সমীক্ষা’র প্রাথমিক খসড়া প্রতিবেদনের ওপর আলোচনায় এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রধান ড. জাহিদ হোসেন। সমীক্ষাটি আগামী বছরের প্রথম দিকে প্রকাশিত হবে।  সমীক্ষায় বলা হয়, দ্রুত নগরায়নের প্রেক্ষাপটে নগরায়ন ও শিল্পায়নকে পরিবেশগতভাবে টেকসই উপায়ে পরিচালিত করতে হবে। অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে অবাধ দূষণ ছোট-বড় দুই ধরনের শহরকেই প্রভাবিত করছে উল্লেখ করে সমীক্ষায় বলা হয়, ঢাকায় ছয় লাখ বাসিন্দা সীসা দূষণের শিকার হচ্ছেন, যার ফলে বিশেষ করে শিশুদের আইকিউ নষ্ট হতে পারে এবং তাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যখন প্রবৃদ্ধি পরিবেশের ক্ষতি করে অর্জিত হয়, তখন তা টেকসই হয় না। বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে হলে পরিবেশ দূষণের ইস্যুটি উপেক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ দূষণ রোধে এখনই কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।’ সমীক্ষার প্রাথমিক খসড়ায় বলা হয়, বাংলাদেশে বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর মোট জিডিপির এক শতাংশ হ্রাস পাচ্ছে। নন-কমপ্লায়ান্ট শিল্প ও অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ও অঝুঁকিপূর্ণ উপকরণের ফলে নগরের বাতাস এবং ভূপৃষ্ঠে পানি দূষণ হচ্ছে। এক টন সুতায় রং ও ফিনিশিং করতে ২০০ টন দূষিত পানি নদী বা খালে গিয়ে পড়ে। যা রাজধানীর আশপাশের এলাকার দরিদ্র মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘পরিবেশ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির দিক নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। কিন্তু মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে প্রায়ই সমন্বয়হীনতা দেখি। যা থেকে  বেরিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন সচিব ইশতিয়াক আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রাইসুল আলম মণ্ডল, বিশ্বব্যাংকের এনভায়রনমেন্টের গ্লোবাল প্রাকটিসের প্র্যাকটিস ম্যানেজার কেসিনিয়া এলভোভসকি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর