পুলিশি বাধার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে হেফাজতে ইসলামের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি। গতকাল বেলা ১২টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা এ মিছিল শুরু করেন।
মিছিলসহ দলের নেতা-কর্মীরা পল্টন মোড়, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর এলাকায় পৌঁছালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সহায়তায় হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আজীজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী।
এর আগে হেফাজতে ইসলাম বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগরীর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, জেরুজালেম ফিলিস্তিনের ছিল ফিলিস্তিনেরই থাকবে, ট্রাম্পের অন্যায় ঘোষণা বিশ্ব মুসলিম মেনে নেবে না। এ ঘোষণা বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। মাওলানা আবুল কালাম বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের ইমানি পরীক্ষা চলছে। আমরা ইমানের বলে বলিয়ান হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে থাকব। মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, মুসলমানদের প্রথম কেবলা জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে ট্রাম্প ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। ট্রাম্পকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
