সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাদক পাচারে জনপ্রতিনিধি জড়িত থাকলেও ছাড় নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক পাচার বা চোরাচালানের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। এর সঙ্গে যিনিই জড়িত থাকুন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মাদকের সঙ্গে কারও সম্পৃক্ততা পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

গতকাল বিজিবি সদর দফতরে ‘সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সভায় সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও করণীয় সম্পর্কে সংসদ সদস্যদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনাফ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদক আসছে। সেগুলো বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তপথে চোরাচালান করতে দেওয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে তা রোধ করে সীমান্ত সুরক্ষিত করা হবে। প্রত্যেক সীমান্ত এলাকার এমপিদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনগণও মাদক পাচার রুখতে সহায়তা করেন। তিনি বলেন, মাদক এ দেশে তৈরি হয় না। ভারত ও মিয়ানমার থেকেই আসে। সেগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে আমরা এমপিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশাসনের পাশাপাশি এমপিরা মাদক পাচার বন্ধে ভূমিকা রাখবেন। মাদকের বিস্তার রোধে সরকার আরও কঠোর হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকেও যুগোপযোগী করার চেষ্টা চলছে। আগামী সংসদে নতুন খসড়া আইন উত্থাপন করা হবে। সীমান্ত হত্যা কমেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন ৬৮ জন, ২০১৭ সালে তা নেমে এসেছে ২১ জনে। এতে প্রমাণ করে বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে আগের চেয়ে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। আমাদের আশা সীমান্ত হত্যা শূন্যে চলে আসবে। আমরা চাই না একজন মানুষও সীমান্তে খুন হোক। আমাদের দেশে আশ্রয় নেওয়া ৯ লাখ রোহিঙ্গার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েও এমপিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, কোস্ট গার্ডের ডিজি রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, ডিএনসি ডিজি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, র‌্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ, সীমান্ত এলাকার ৩৩জন সংসদ সদস্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর