বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী বিএনপির গলার কাঁটা জামায়াত

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর থেকে

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী বিএনপির গলার কাঁটা জামায়াত

দিনাজপুর-৬ জেলার সবচেয়ে বড় সংসদীয় আসন। নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলা নিয়ে এ আসন। নব্বইয়ের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আজিজুর রহমান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু, ২০০৮ সালে ড. আজিজুল হক চৌধুরী এবং ২০১৪ সালে শিবলী সাদিক এমপি নির্বাচিত হন। গত উপজেলা নির্বাচনে চার উপজেলার তিনটিতেই বিএনপি প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। এ অবস্থায় বিএনপি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও তাদের গলার কাঁটা হতে পারে জামায়াত। এখানে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাই জামায়াত এ আসন বিএনপিকে ছাড় দিতে রাজি নয়। এ আসনে জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলামের পক্ষে জামায়াত নেতা-কর্মীরা নীরবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আর দলীয় চরম কোন্দলে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে মাঠপর্যায়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে জোর লবিং শুরু করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন— আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বর্তমান এমপি শিবলী সাদিক, সাবেক এমপি আজিজুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা, নবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মণ্ডল, বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পারভেজ কবির, বিরামপুরের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আক্কাস আলী, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইনুল হক চৌধুরী ও ঘোড়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাকসুদুর রহমান চৌধুরী।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হতে গণসংযোগ করছেন— বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি চিকিৎসক নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুত্ফর রহমান মিন্টু, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সুজন ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুত্ফর রহমান মিন্টু। জাতীয় পর্টির হয়ে নির্বাচনী দৌড়ে রয়েছেন— কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও জেলা সভাপতি আলহাজ দেলোয়ার হোসেন। তিনি এমপি শিবলী সাদিকের চাচা। এ ছাড়া জেলা জাপার সহসভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান মনোনয়ন চাইবেন। জাপা নেতারা বলছেন, ২০০৮ সালে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কথা রাখেনি আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ খবর