বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভিমুখে বাম সংগঠনের মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে চিহ্নিত ব্যাংক লুটপাটকারীদের গ্রেফতার করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে    বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভিমুখে মিছিল করেছে কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। তবে বাম সংগঠনগুলোর ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। মিছিলপূর্ব সমাবেশে বাম নেতারা বলেন, এই সরকারের আমলে সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংকসহ ব্যাংকিংখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ব্যাংকের আমানত লুটপাটকারীদের রক্ষাকারী সরকার। গতকাল কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আহূত ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখী বিক্ষোভ’ কর্মসূচি ও প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিলপূর্ব সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদের (মার্কসবাদী) ফখরুদ্দিন কবীর আতিক ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা কার্যালয়গুলোর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন বাম নেতারা।  প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল কদমফোয়ারা, পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা ক্রসিং পার হয়ে মতিঝিল সড়কের মুখে ব্যাপক পুলিশী ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। দুই প্রান্তে ব্যারিকেড অতিক্রম করে পুলিশি বাধায় নেতা-কর্মীরা সড়কে বসে পড়েন। পরে ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। এ সময়ে অন্তত ১০জন নেতা-কর্মী আহত হন। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন— কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতা কাম ব্যাংক পরিচালক ও লুটেরা ধনিক গোষ্ঠী যোগসাজশে ব্যাংকে রাখা জনগণের আমানত লুট করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর একজন উপদেষ্টা গত ত্রিশ বছর ধরে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত। আওয়ামী লীগ আমলে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে শেয়ার বাজার লুটপাটে তিনি ছিলেন প্রধান ব্যক্তি। সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, যারা বলে বেড়ায় আমি নিজেও চোর, আমার মন্ত্রীরাও চোর— তাদের অবিলম্বে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তিনি বলেন, দুদক কার্যকর কিছুই করতে পারছে না। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামীতে সচিবালয় ঘেরাওসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হব।

সর্বশেষ খবর