বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে বাংলাদেশে সতর্কতা

প্রতিদিন ডেস্ক

অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে বিটকয়েনের  কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। মুদ্রাটির দাম ওঠা-নামার মধ্যেই রয়েছে। যদিও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং করা আছে যেটি চাইলে কেনা যায়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এটি গড়ে তুলেছে। খবর বিবিসির। অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, এটা এক ধরনের জুয়া খেলার মতো, যার ভিত্তিতে হয়তো টাকা খাটিয়ে লাভজনক কিছু করা যেতে পারে। সে জন্য অনেক মানুষ সেদিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না। এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোনো স্বীকৃতিও নেই। ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে। এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে। মুদ্রা দিয়ে যেভাবে পণ্য বা সেবা কেনা যায়, বিটকয়েন দিয়ে কি সেসব কেনা যায়? বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ আহসান মনসুর বিবিসি বাংলাকে বলেন, কেনা যাবে। কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের পণ্য বা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলে সে চাইলে বিটকয়েনর বিনিময়ে সেটি বিক্রি করতে পারবে। অনলাইনে যেভাবে আমরা ই-পেমেন্ট সিস্টেমে কেনাকাটা করছি সেভাবে বিটকয়েনের মাধ্যমে অনলাইনে কেনা-কাটা করা সম্ভব। সম্প্রতি দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে এর দাম ছিল এক হাজার ডলার। তারও আগে ছিল একশ ডলার। এক বছরের মধ্যে একশ থেকে এক হাজার ডলারে দাম উঠে যায়। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এর দাম উঠেছে ১৯ হাজার ডলারে। তিনি জানান, এখন এখানে অনেকেই এর পেছনে বিনিয়োগ করছে আরও বেশি টাকার জন্য। এরকম ক্ষেত্রে হঠাৎ করে এসব লোকেরা বাজার থেকে সরে গেলে বিপদে পড়বেন অনেকেই।

সর্বশেষ খবর