বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

এবি ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তাদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। বিষয়টি দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব  কুমার ভট্টাচার্য্য নিশ্চিত করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা পাঁচ কর্মকর্তা হলেন ব্যাংকটির হেড অব করপোরেট মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউর কর্মকর্তা মো. আরিফ নেয়াজ, ব্যাংক কোম্পানি সেক্রেটারি মহাদেব সরকার সুমন ও প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এম এন আজিম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা কোনো উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। ২৬ ডিসেম্বর দুদকের নোটিশে তাদের তলব করা হয়েছিল। একই অভিযোগে ২৮ ও ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে ব্যাংকটির ১২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের সঙ্গে এসব কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয় দুদক। অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, পিজিএফ নামে দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা বললেও ওই কোম্পানির কোনো কর্মকর্তার নাম বা পরিচয় কাগজপত্রে দেখাতে পারেনি এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বরং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছে। তিন কিস্তিতে ওই টাকা দুবাই যাওয়ার পর ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্র। এ-সংক্রান্ত তথ্য এবি ব্যাংকের কাছে নেই। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে খুররাম ও আবদুস সামাদ নামে দুই ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এ ছাড়া দুদক ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার একাধিকবার দুবাই যাতায়াতের প্রমাণ পেয়েছে। ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ ও পরিচালক ব্যারিস্টার ফাহিমুল হক পদত্যাগ করেন। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তারা পদত্যাগ করেন।

সর্বশেষ খবর