বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

চরে পিয়াজ চাষ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

চরে পিয়াজ চাষ

আত্রাই নদীতে জেগে ওঠা বিশাল চর এলাকায় পিয়াজসহ বিভিন্ন চাষাবাদ স্থানীয় ভূমিহীনদের দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আর এ নদীর চরে পিয়াজ চাষেই ভাগ্যবদল হয়েছে অনেক ভূমিহীন কৃষকের। তবে গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা চরে চাষাবাদ করে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আত্রাই ছাড়াও গর্ভেশ্বরী, পুনর্ভবা, ছোট যমুনাসহ বিভিন্ন নদীর মাঝে পিয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন চাষাবাদ করছে ভূমিহীন কৃষকরা। বীরগঞ্জের শতগ্রাম ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর উৎসমুখে শুকনো মৌসুমে নদীতে চর পড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নদী তীরবর্তী ভূমিহীনরা এ চরকেই চাষাবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়।

চর এলাকাকে চাষের যোগ্য করে তুলতে পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাজ করে। আর নদীর চরে পিয়াজ চাষ করে অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও এনে দিয়েছে অনেকের। প্রতিবারের মতো এবারেও আত্রাই নদীর চরে পিয়াজ চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষককেরা। পিয়াজ গাছের সবুজ রঙে বদলে গেছে নদীর চিত্র। অধিকাংশ চাষি গত ৩-৫ বছর থেকে জেগে ওঠা চরে পিয়াজ চাষ করছেন। নভেম্বর মাস থেকে নদীতে পানি কমে গেলে বালু চরে পিয়াজ চাষের উপযোগী করে তোলার জন্য নেমে পড়েন চাষিরা। পিয়াজ চাষিরা জানান, নিজস্ব জমি না থাকায় তারা নদীর জেগে ওঠা চরে চাষাবাদ করে থাকেন। বর্ষার সময় পানির সঙ্গে যে পলি পড়ে তা খেতের সার হিসেবে কাজে লাগে। তাই অতিরিক্ত সার দিতে হয় না এবং সেচের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। এ কারণে নদীর চরে পিয়াজ চাষ লাভজনক। ভূমিহীন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নদীতে পিয়াজ চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। বিপরীতে এক বিঘা জমিতে পিয়াজ আসে ৩৫ থেকে ৪০ মণ। তা দিয়েই আমাদের কয়েক মাসের খাবারের জোগান হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা কালা ইসলাম ও তার স্ত্রী সফিলা জানান, নিজের জমি না থাকায় বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে গত কয়েক বছর থেকে পিয়াজ চাষ করছি। আমরা নিজেরাই টেনে মই চাষ দিয়ে চাষযোগ্য করে তুলি। তারপর পিয়াজ রোপণ করি। পিয়াজ আবাদের আয় থেকে পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর