শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

শীতে কাবু সারা দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে দেশ। প্রকৃতির দিকে তাকালেই বোঝা যায় বেশ জেঁকে বসেছে শীত। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল আলীম বলেন, গতকালের মতো আজও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকবে। কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত গড়িয়ে যাবে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। কুয়াশার কারণে সড়কপথে তৈরি হচ্ছে যানজট। শুধু তাই নয়, কুয়াশায় ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। রাজধানী থেকে শুরু করে শীতের হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : বরিশাল : গতকাল সকালে বরিশালে এবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বরিশালে শীত জেঁকে বসেছে। ঠাণ্ডা বাতাস ও প্রচণ্ড শীতে কাতর হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা পায়নি এ এলাকার মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। ঘন কুয়াশায় বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। লালমনিরহাট : কনকনে হাওয়া ও শৈত্যপ্রবাহে গত চার দিন ধরে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে লালমনিরহাটে। শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। গতকাল সারা দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি জেলায়। সন্ধ্যার পরপরই শহর ও গ্রামের হাট-বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। দিনের বেলায় বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারণে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। তবে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তপন কুমার জানালেন, পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে তিস্তা ও ধরলার ১৬৩টি চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকারিভাবে জেলার ৫ উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর