শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
পশ্চিমবঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ইনু

বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ইতিহাস নেই

বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ইতিহাস নেই

কলকাতা প্রতিনিধি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের কোনো ঘটনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বাংলাদেশ সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী  ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর গত ৪৫ বছরে আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যে জেলাগুলো আছে সেখানে কোনো দুর্ঘটনা বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা হয়নি। ফলে বাংলাদেশের মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার কোনো কারণ নেই। তাই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার যে কথা বলা হচ্ছে তা আমাদের কাছে খুবই অবাক লাগছে।’ ভারতের আসাম রাজ্যে ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস’ বা এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি)-র আংশিক খসড়ার বিভিন্ন মহলে বাঙালি খেদাও-এর যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গেই ইনু এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে জানতে পারছি যে আসামে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের একটা তালিকা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে এখনো অবহিত নয়।’ এনআরসি নিয়ে সম্প্রতি আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা পরিষ্কার করে জানান, ‘আসামে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতেই নাগরিকপঞ্জি নবায়ন করা হচ্ছে। তাই যাদের নাম নাগরিকপঞ্জিতে থাকবে না তাদের ফেরত পাঠানো হবে। সে ব্যাপারে ইনু বলেন, ‘এ ব্যাপারে আসাম রাজ্য সরকার কী করছে, তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যদি কোনো কথা উত্থাপন করে তবে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব।’ বুধবার বীরভূমের এক জনসভা থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘আসামে বাঙালি খেদাও চলছে।’ সে বিষয়ে ইনু বলেন, ‘মমতা যেটা বলেছেন আমি সেটা শুনেছি কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেখানে নিশ্চয় কিছু রাজনীতির ব্যাপার থাকতে পারে সেটা তাদের ব্যাপার। তবে বাংলাদেশ এ ব্যাপারে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়।’

এদিনের সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মনজুরুর রহমান, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ, বিজেপি নেত্রী ও অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রখ্যাত সাংবাদিক মানস ঘোষ, সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত, গৌতম ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস সুর, সংগীতশিল্পী সৈকত মিত্রসহ বিশিষ্টজনরা। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা তুলে ধরেন ইনু। এর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দুই দেশের অনেক সমস্যা সমাধান, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নের দিকও তুলে আনেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর