সাইক্লোনের নাম ‘বোমা’। তার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আমেরিকা। তিলোত্তমা নিউইয়র্ক সিটি এখন অনেকটা বরফের নিচে। আমেরিকার আট অঙ্গরাজ্যে এখন চলছে অসহনীয় শৈত্যপ্রবাহ। এর ফলে বৃহস্পতিবার তুষার জমে বরফ হওয়ার পর তা কঠিন হয়ে পিচ্ছিল আকার ধারণ করছে।
নিউইংল্যান্ডে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বরফ পানিতে ভেসে গেছে অনেক এলাকা। নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনায় বরফ পড়া রাস্তায় গাড়ির চাকা পিছলে চারজন মারা গেছেন। ফিলাডেলফিয়ায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেনের গায়ে আঘাত করে। এতে গাড়ির এক আরোহী মারা যান। মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে শুক্রবার রাতে সর্বসাধারণকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শনিবার এবং আজ রবিবারও ভার্জিনিয়া, দেলওয়ারে, পেনসিলভানিয়া, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট, ম্যাসেচুসেটস, রোড আইল্যান্ড এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশ এলাকায়ই তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ২০ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামবে। যাকে স্মরণকালের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে এ অঞ্চলের সোয়া কোটি অধিবাসীকে। এর মধ্যে তিন লাখেরও অধিক হচ্ছেন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিরাও গত তিন দিন থেকেই অসহায় জীবনযাপন করছেন। বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও অচল হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এদিকে, বোমা সাইক্লোনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৩ হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পরই প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হবে বলে অঙ্গরাজ্য এবং সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফেডারেল প্রশাসনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী উইসকনসিনে ৬, টেক্সাসে ৪, নর্থ ক্যারোলাইনায় ৩, নিউইয়র্কে ২, ভার্জিনিয়ায় ২ এবং নিউজার্সি, ওহাইয়ো, মিশিগান, মিজৌরি, নর্থ ডেকটা, সাউথ ক্যারোলাইনায় একজন করে মারা গেছেন। নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসির স্কুলগুলোতে শুক্রবার ক্লাস শুরু হলেও উপস্থিতির হার ছিল কম। তবে ফিলাডেলফিয়া, বস্টনসহ বেশকটি বড় স্কুল ডিস্ট্রিক্টে শুক্রবারও স্কুল বন্ধ ছিল। এনআরবি নিউজ