মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের কোন্দলের সুযোগ নিতে চায় বিএনপি

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

আওয়ামী লীগের কোন্দলের সুযোগ নিতে চায় বিএনপি

চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গার একাংশ) আসনে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। প্রার্থীরা প্রতিদিন সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। ইসলামী জলসাগুলোতে অতিথি হওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে নেতাদের। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে একডজন প্রার্থী এবং বিএনপি থেকে চারজন প্রার্থী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন।

বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গার একাংশের বিএনপির হাল ধরে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান তালুকদার। ’৯১ থেকে পরপর চারবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন করেন। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের আতঙ্ক আবদুল মান্নান তালুকদার। এ ছাড়া আসনটিতে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান আয়নুল হক ও বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম শিশির মনোনয়ন প্রত্যাশী। সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান তালুকদার জানান, রায়গঞ্জ-তাড়াশের সব উন্নয়ন তার হাতেই হয়েছে। আগামীতে দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে স্কুল-কলেজ, ব্রিজ ও কালভার্টসহ বাকি উন্নয়নের কাজ করা হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গা একাংশের নেতৃত্ব ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ ইসহাক হোসেন তালুকদার। ২০১৪ সালের ৬ অক্টোবর তার মৃত্যুর পর বীর মুক্তিযোদ্ধা ম ম আমজাদ হোসেন মিলন মনোনয়ন পান। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি রায়গঞ্জ-তাড়াশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। এ ছাড়া এ আসনে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলমাজী জিন্নাহ, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শিল্পপতি এটিএম লুত্ফর রহমান দিলু, সাবেক এমপি মরহুম ইসহাক হোসেন তালুকদারের ছেলে ইমরুল হাসান ইমন, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর, রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম হৃদয়, স্বপন কুমার রায়, রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুর ইসলাম শরিফ, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুইট, স্বাচিপ নেতা ডা. আবদুল আজিজ ও রায়গঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রেজাউল করিম তালুকদার মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই বলয়ে বিভক্ত। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ নিতে তত্পর রয়েছে বিএনপি। সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর জানান, দলের জন্য নিবেদিত, পরীক্ষিত, দক্ষ-যোগ্য এবং জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আসনটিতে পুনরায় আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান সেখ জানান, শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই সবাই কাজ করবে। সংসদ সদস্য ম ম আমজাদ হোসেন মিলন জানান, অপপ্রচারসহ নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শিকার হচ্ছি। তারপরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছপা হইনি। ভবিষ্যতেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক দল ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

সর্বশেষ খবর