শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

কানাইঘাটে প্রচুর বিস্ফোরকসহ র‍্যাবের হাতে আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন কয়লা ও চুনাপাথর খনিতে ব্যবহৃত বিস্ফোরক চোরাকারবারিদের মাধ্যমে ঢুকে পড়ছে সিলেটে। সিলেটে আটককৃত বিস্ফোরকের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকের মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৯ এর উপঅধিনায়ক মেজর জামসেদুর রহমান।

সিলেটে গত রবিবার সন্ধ্যায় কানাইঘাট উপজেলার সুরইঘাট থেকে সিলেট শহরের দিকে নিয়ে আসার সময় প্রচুর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরকসহ তিনজনকে আটক করে র‍্যাব। আটকরা হলো— কানাইঘাট উপজেলার হালাবাদী গ্রামের ইব্রাহিম (৪০), সোনারতন গ্রামের আশিক (১৯) ও একই গ্রামের রায়হান (২০)। তাদের কাছ থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৩০০ পিস এক্সপ্লোসিভ পাওয়ার জেল ও ৩০০ পিস ইলেকট্রিক ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো এতই ক্ষমতাসম্পন্ন যে, ১০টি বিস্ফোরক দিয়ে ২-৩ তলা স্থাপনা অনায়াসেই উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর জামসেদ। জানা যায়, সিলেট বিভাগের তিনদিকই ভারতবেষ্টিত। এর মধ্যে জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট এবং সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতের বেশ কয়েকটি কয়লা ও চুনাপাথর খনি রয়েছে। এসব খনি থেকে কয়লা ও পাথর উত্তোলনে শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর ভাঙার পর সেগুলো উপরে তুলে আনা হয়। সূত্র জানায়, কয়লা ও পাথর খনি থেকে হাই এক্সপ্লোসিভ পাওয়ার জেল ও ইলেকট্রিক ডেটোনেটর চোরাই পথে বাংলাদেশে নিয়ে আসে একটি চক্র। সিলেট ও সুনামগঞ্জের একাধিক চক্র এ কাজে সক্রিয় রয়েছে। এসব চক্রের বিভিন্ন সদস্য র‍্যাবের হাতে ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায় মূল হোতারা। র‍্যাব-৯ এর উপঅধিনায়ক মেজর মো. জামসেদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, গত রবিবার কানাইঘাট থেকে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলোর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকের মিল রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে এসব বিস্ফোরকের গন্তব্য ছিল দেশের বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে। তিনি আরও বলেন— বিস্ফোরকগুলো ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর