মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
চলন্ত বাসে রূপা ধর্ষণ ও হত্যা

আরও চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রূপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গতকাল তৃতীয় দফায় আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। এরা হলেন-লাল মিয়া, হাসমত আলী, এম এ রৌফ ও ইমাম হোসেন। সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ পর্যন্ত ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। আজ আরও ৯ জন সাক্ষীকে ডাকা হয়েছে।গত রবিবার রূপার লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল প্রতিবেদনের সাক্ষী মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রবীর এন কুমার, পঁচিশ মাইল এলাকার রশীদ মিয়া ও রহিজ উদ্দিন এবং রূপাকে বহনকারী বাস জব্দ করার সাক্ষী মধুপুরের শ্রমিক আবুল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একে এম নাসিমুল আক্তার জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে গতকাল রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার মামলার বাদি মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) কে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। গত ৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

সর্বশেষ খবর