শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

চরফ্যাশনের সুগন্ধি ধান রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

এম আবু সিদ্দিক, চরফ্যাশন (ভোলা)

চরফ্যাশনের সুগন্ধি ধান রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

চরফ্যাশনে উৎপাদিত সুগন্ধি ব্রি-৩৪ ধানের এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও বাজারে ধানের উচ্চমূল্য পেয়ে খুশি কৃষকরা। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সুগন্ধি ধান চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। চরফ্যাশনে উৎপাদিত সুগন্ধি ধান রপ্তানি হচ্ছে দেশ-বিদেশে। সরেজমিনে উৎপাদিত এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চরফ্যাশনের নূরাবাদ, হাজারীগঞ্জ, এওয়াজপুর, আছলামপুর, মাদ্রাজ, চরমনোহর, চরফকিরা, রসুলপুর, চরমানিকায় ৩৬০ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ব্রি-৩৪ ধান আবাদ করেছে প্রায় ৮ হাজার কৃষক। এ বছর বেশিরভাগ জমিতে ব্রি-৩৪ জাতের ধান চাষ হয়েছে। একসময় মানুষ বছরজুড়ে পোলাও ও পায়েশ খাওয়ার জন্য সামান্য জমিতে সুগন্ধি ধানের চাষ করতেন। সেই সময়ে কাটারি, কালনি, নেনিয়াসহ বিভিন্ন জাতের সুগন্ধি ধানের প্রচলন ছিল। এই ধানের উৎপাদন ছিল খুবই কম। এ কারণে প্রান্তিক কৃষকের ওইসব ধান চাষে তেমন আগ্রহ ছিল না। ব্রি-৩৪ জাতের ধান কেবল সুগন্ধিই নয়, এই ধানের দাম বাজারে সবচেয়ে বেশি। ফলনও ভালো। ফলে কৃষকেরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই এই ধানের চাষ করছেন। এ সুগন্ধি চাল ছাড়া এখন বড় ধরনের উৎসব হয় না। বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় কৃষকরা আধুনিক চাষাবাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে অধিক লাভের আশায় সুগন্ধি ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, সুগন্ধি ধান ব্রি-৩৪ জাতের আবাদ পরিবেশ সম্মত এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে ফলে। উৎপাদন খরচ অন্যান্য ধানের চেয়ে কম হওয়ায় এ জাতীয় ধান চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া এখন উপকূলীয় অঞ্চলে বেশিরভাগ কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই ধানের চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর