শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ছয় লেন ফ্লাইওভারে পাল্টে গেছে মহীপালের চেহারা

জমির বেগ, ফেনী

ছয় লেন ফ্লাইওভারে পাল্টে গেছে মহীপালের চেহারা

ফেনীর মহীপালে ছয় লেন ফ্লাইওভার —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের প্রথম ছয় লেন ফ্লাইওভার ফেনীর মহীপাল ফ্লাইওভার। এটি উদ্বোধনের পর থেকে পাল্টে গেছে মহীপালের চেহারা। আগে যেখানে বিভিন্ন যানবাহনের ফেনীর মহীপালের এই অংশ পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, এখন আর সে চেহারা চোখে পড়ে না। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী চলাচলকারী ননস্টপ পরিবহনগুলো এখন সরাসরি ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে চলাচল করায় যানজট অনেকটা কমে গেছে। তবে মহীপাল থেকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ফেনী শহরের প্রবেশপথে সড়কের কাজ চলায় ফ্লাইওভারের নিচে লিংক রোডে এখনো কিছুটা যানজট রয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লিংক রোড থেকে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারগুলো যদি টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে লিংক রোডেও আর কোনো যানজট থাকবে না। ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেন। এর পরই এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন ফ্লাইওভারটি দেখতে ভিড় করছে শত শত দর্শনার্থী। এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও এখনো চলছে নিচে সাজসজ্জার কাজ।

ফ্লাইওভারটি প্রথমে চার লেনের হওয়ার কথা থাকলেও ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় নিয়ে পরবর্তী সময়ে ছয় লেন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১ এপ্রিল ২০১৫। এই বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ থাকলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এর নির্মাণকাজ ছয় মাস আগেই শেষ হয়েছে। দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহীপালে নবনির্মিত ছয় লেন ফ্লাইওভারটির নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ১৫৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বেড়ে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। মূল ফ্লাইওভারটির  দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার, প্রস্থ ২৪ দশমিক ৬২ মিটার। সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য ১৩৭০ মিটার, প্রস্থ ৭.৫ মিটার। অ্যাপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য ১১৬০ মিটার। সাইড ড্রেনের দৈর্ঘ্য ২২১০ মিটার। ফুটপাথের দৈর্ঘ্য ২২১০ মিটার। পিছি গার্ডার ১৩২টি। স্টেন ১১টি। পিয়ার ২০টি। ৬৬০ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটিতে ১১টি স্প্যান এবং ২৯০ মিটার র‌্যাম্প রয়েছে। মূল বিশ্বরোড থেকে একটি সড়ক ফ্লাইওভারে যায়। অপরটি পাশ দিয়ে এসে ফেনী শহর ও ফেনী-নোয়াখালী সড়কে যায়, যাকে লিংক রোড বলা হয়।

এই ফ্লাইওভারের আলাদা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ওপরে ছয় লেন ও নিচে চার লেন। সে হিসাবে মহাসড়কের মহীপালের এ অংশটি এখন ১০ লেনের। ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশনের অধীন ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে মেসার্স আবদুল মোমেন লিমিটেড।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর