সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ বিলের ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রকৌশলীসহ দুজন বরখাস্ত

আনিস রহমান

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) বনশ্রী ডিভিশনে আবাসিক ও অনাবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ডিপিডিসির পরিচালক (অপারেশন) এ টি এম হারুন অর রশিদ জানান, ঘটনাটি ধরা পড়ার পর প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন বনশ্রী শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা ও একই ডিভিশনের লাইনম্যান ম্যাট মীর কামাল হোসেন। সরকারি

টাকা আত্মসাতে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি কমিটির প্রধান হচ্ছেন ডিপিডিসির প্রধান প্রকৌশলী (সেন্ট্রাল) সারোয়ারে কায়নাতে নূর ও অপরটির প্রধান আইসিটি বিভাগের চিফ মো. রবিউল হাসান। তাদের দেওয়া সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সারোয়ারে কায়নাতে নূর এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ১০ লাখ ইউনিটেরও বেশি বিদ্যুৎ বিলের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে। ডিপিডিসি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ জালিয়াতির ঘটনা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ধরা পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে দুজনকে বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের ওপরের ও নিচের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও এ ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে। সরকারি বিদ্যুৎ বিলের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় যে দুজন বনশ্রী ডিভিশন থেকে বরখাস্ত হয়েছেন তাদের একজন মীর কামাল হোসেন। তিনি ডিপিডিসির বনশ্রী ডিভিশনের লাইনম্যান ম্যাট। এই কর্মচারী মূলত লাইনম্যান ম্যাট হলেও দায়িত্ব পালন করেন ডিভিশনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে। এ ঘটনায় বরখাস্ত অপর ব্যক্তি বনশ্রী শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা। একটি ডিভিশনের ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে সার্ভারের পাসওয়ার্ড থাকে উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে। দিনের বিভিন্ন সময় গ্রাহকের বিল সংশোধনসহ অন্যান্য খুঁটিনাটি কাজ সার্ভারে পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকে করতে হয়। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, বনশ্রী ডিভিশনের সব অনিয়ম সোহেল রানার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে করা হয়েছে বলে ধরা পড়ে।

সর্বশেষ খবর