মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
দ্রুত বিচার আইন

শাস্তির মেয়াদ ৭ বছর করার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

হরতাল, অবরোধ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে যে কোনো অরাজক পরিস্থিতি ঠেকাতে জাতীয় সংসদে দ্রুত বিচার আইনের সংশোধনী উত্থাপিত হয়েছে। এতে ‘আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২’ অধিকতর সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়ে ৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে বিলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উত্থাপন করেন। ‘আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন ২০১৮’ শীর্ষক বিলে দুটি সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

প্রস্তাবিত বিলের ২ ধারায় বিদ্যমান আইনের ৪-এর উপধরা-১ এ বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ ‘পাঁচ বৎসর’ এর পরিবর্তে ‘সাত বৎসর’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি নষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয় গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে ‘আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২’ প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। উক্ত আইনের ধারা ৪-এর উপধারা-১ এ বিধৃত শাস্তির পরিমাণ কম থাকায় আইনটি সময়োপযোগীকরণ এবং দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে এ বিধৃত শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর