রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ভোলার চরফ্যাশনে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ জ্যাকব টাওয়ারটি পর্যটনশিল্পে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। তিনি বলেন, এ এলাকার পর্যটন সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা ও স্থানীয় জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। পর্যটনশিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করতে পর্যটকের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পর্যটনশিল্পের পর্যাপ্ত বিকাশ ঘটেছে। সেই চিন্তাধারা থেকে জ্যাকব টাওয়ার নির্মাণ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ টাওয়ার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। গতকাল দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ২২৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট জ্যাকব টাওয়ার উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি এই ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধনের পরে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের নবনির্মিত ভবন, বেগম রহিমা ইসলাম ডিগ্রি কলেজের নব নির্মিত ভবন, নজরুল ইসলাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের নব নির্মিত ভবন এবং রসুলপুর-এওয়াজপুর মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেন। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। কিন্তু আমাদের সম্ভাবনাসমূহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাই একবিংশ শতাব্দীতে দেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে এসব উন্নয়ন সম্ভবনাসমূহকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। আর এ জন্য দরকার জনপ্রতিনিধি, উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণের সমন্বিত প্রয়াস। সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলায় বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস আছে। এই গ্যাস ব্যবহার করে এখানে গ্যাসভিত্তিক অনেক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে। সড়কপথে যোগাযোগের জন্য ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, ভোলা হবে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর। সেই লক্ষ্যে ভোলার চার এমপি কাজ করে যাচ্ছেন। চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল। উপস্থিত ছিলেন আফজাল হোসেন ও রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এমপি।