জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য দূর করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়নে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের অবদান রাখতে হবে।
গতকাল ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউবি) ১৯তম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এ আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আইইউবির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট ইএসটিসিডিটি’র চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাশেদ চৌধুরী, উপাচার্য অধ্যাপক এম ওমর রহমান প্রমুখ এতে বক্তব্য দেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, জ্ঞান নির্ভর এই বিশ্বে মেধার চর্চার বিকল্প কিছুই নেই। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতের নেতা। তাই কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চর্চায় নিমগ্ন হতে হবে। সারাজীবনের অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষাকে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান আমাদের জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আইইউবির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট ইএসটিসিডিটি’র চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার বলেন, আইইউবি-কে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার স্থান হিসেবে তৈরি করতে ট্রাস্ট অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাশেদ চৌধুরী বলেন, অর্জিত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা গ্র্যাজুয়েটদের সব বাধা অতিক্রম করতে সহায়ক হবে। গ্র্যাজুয়েটরা ন্যায়নীতি ও দৃঢ়তার সঙ্গে জনকল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন— এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের। উপাচার্য অধ্যাপক এম ওমর রহমান বলেন, আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা শুধু পেশাগত জীবনেই সফল হবে না, বরং সমাজ, দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ইতিবাচক অবদান রাখবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সহনশীল ও উদার বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।সমাবর্তনে স্নাতক পর্যায়ের ৮২৩ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২৯৬ জন শিক্ষার্থীকে সনদ তুলে দেওয়া হয়।