বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

তিন দিনেও যুক্তি শেষ হয়নি একজনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মাওলানা মো. সাঈদ ওরফে ডা. জাফরের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আলীর যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়নি তিন দিনেও। তিনি যুক্তি উপস্থাপনের সময় বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ টেনে আনায় বিরক্তি  প্রকাশ করেছেন বিচারক। গত সোমবার শুরু করে গতকালও তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করতে না পারায় ৫, ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করে দেন ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে মামলা দুটির বিচার চলছে। বেলা ১১টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আইনজীবী আসতে দেরি করায় সাড়ে ১১টায় শুনানি শুরু হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে আইনজীবী মোহাম্মদ আলী বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য উপস্থাপন করতে থাকেন। যেসব সাক্ষ্যে তার আসামির নাম আসেনি ওইসব সাক্ষীর জবানবন্দিও পড়তে থাকেন। যুক্তি উপস্থাপনের একপর্যায়ে বিচারক আইনজীবীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, যেসব সাক্ষ্যে আপনার আসামির নাম আসে ওইসব জবানবন্দি আপনার পড়ার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া সাক্ষীদের পুরো জবানবন্দি পড়তে থাকলে অহেতুক সময় নষ্ট হবে। সাক্ষ্যের যেসব স্থানে আসামির নাম এসেছে শুধু ওইটুকুই পড়ার জন্য আইনজীবীকে পরামর্শ দেন বিচারক। গতকাল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান, বিশেষ পিপি মো. আবু আবদুল্লাহ ভূঞা, আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল, অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা, অ্যাডভোকেট মো. আমিনুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত প্রমুখ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে আবদুস সোবহান তরফদারসহ অন্য আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। নির্মম এ হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ হামলায় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর