বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
চলন্ত বাসে রূপা ধর্ষণ-হত্যা

আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আজ আসামি পক্ষে যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেছে আদালত। পিপি জানান, সাক্ষ্যে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। পরে আদালত আসামি পক্ষের যুক্তিতর্কের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে। এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে রূপা হত্যার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মানবাধিকার আইনজীবী পরিষদ। গতকাল সকালে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আসামিদের উপস্থিতিতে জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। আসামিরা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী এবং হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম নাছিমুল আখতার জানান, মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ হিসেবে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পত্রপত্রিকার খবর দেখে নিহতের ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় এসে রূপার ছবি দেখে শনাক্ত করেন। উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই হত্যার পর তারা মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রূপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়।

 এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।

 তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর