১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে ভোটার এখন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন। নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এবার ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ জন নতুন ভোটার। সব মিলিয়ে দেশের ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন ভোটারের মধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ১০৫ জন পুরুষ আর ৫ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৬ জন নারী। অর্থাৎ ভোটার তালিকায় পুরুষ ও নারীর অনুপাত ৫০.৪২ : ৪৯.৫৮। ইসি সচিব জানান, ২০১৭ সালের হালনাগাদ ও ২০১৫ সালে নেওয়া ১৫ বছর বয়সীদের নিবন্ধনের তথ্য মিলিয়ে (যারা চলতি বছর ১ জানুয়ারি ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন) নতুন ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন ভোটারদের মধ্যে ৩৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৯৩ জনের তথ্য ২০১৭ সালে, ৯ লাখ ৬২ হাজার ২৯৬ জনের তথ্য ২০১৫ সালে ও ২ লাখ ৭০ হাজার ১৫৮ জন গত বছর হালনাগাদে এবং ৯০ হাজার ৪৯৮ জন রিভাইজিং অথরিটির মাধ্যমে তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর নিষ্পত্তি করে নির্বাচন কমিশন ৩১ জানুয়ারি এই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করল। হালনাগাদের আগে দেশে ভোটার ছিল ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০১ জন। এবার হালনাগাদে ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৪ জন মৃত ভোটার ও ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩১ জন দ্বৈত নিবন্ধিত ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘সারা বছরই ভোটার হওয়া যায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তারা সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে বা নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন। প্রবাসী বা অসুস্থতার জন্য কেউ ভোটার হতে না পারলে তাদের আমরা ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। আমরা চাই না কেউ ভোটার হওয়া থেকে বঞ্চিত থাকুক।’ তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।