রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

লিজা খুনে পুলিশ এখনো অন্ধকারে

মাহবুব মমতাজী

দুই সপ্তাহের বেশি সময় পার হলেও রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় জেসমিন আক্তার লিজা (২১) খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনো অন্ধকারে রয়েছে। তারা খুনিকেও শনাক্ত করতে পারেনি, খুনের নেপথ্য কারণও উদঘাটন করতে পারেনি। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সময় হারানো দুটি মোবাইল ফোনকে ঘিরে তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুতই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। পুলিশের ধারণা, প্রেমঘটিত অথবা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে লিজাকে খুন করা হতে পারে। হত্যাকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্লিনিকের ওপরের কোনো ভাড়াটিয়া বা রোগী সেজে হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘটনার সময় লিজার দুটি মোবাইল ফোন খোয়া যায়। এর মধ্যে একটির আইএমই নম্বর পাওয়া গেছে। প্রতিদিনই গোয়েন্দা পুলিশ ওই নম্বরে নজরদারি করছে। এর বাইরে খুনের তেমন কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের আগের কয়েকদিন থেকে ক্লিনিকের সিসি ক্যামেরাও বন্ধ ছিল। এ কারণে তদন্তে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, ঘটনার দিন মধ্যরাতে হায়দার ডিজিটাল ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক নজরুল ইসলাম ওরফে জুলফিকার আলী ভুট্টুকে গ্রেফতার করে বাড্ডা থানা পুলিশ। লিজা খুনের ঘটনায় প্রথমে তাকেই সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তবে ঘটনার সময় তিনি এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। খুনে তার কোনো সম্পৃক্ততার তথ্য পাননি তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে এখনো তদন্তের স্বার্থে তাকে আটক রেখেছে পুলিশ। এ ছাড়া খুনের আগ মুহূর্তে ক্লিনিকটি বন্ধ ছিল। ঘটনার দিন সকালে লিজাকে ক্লিনিকে ডেকে নেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লিজার সঙ্গে ক্লিনিক মালিক ভুট্টুর কথা হয়। সর্বশেষ বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আরও দুবার ফোনালাপ হয়। আর এসব বিষয়ে নিশ্চিত হতে এবং খুনিদের খুঁজে বের করতে মোবাইল দুটি উদ্ধারের প্রতি বেশি জোর দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার আশরাফুল করিম এ প্রতিবেদককে জানান, এখনো খুনিরা শনাক্ত হয়নি। তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে। আশা করি শিগগিরই ভালো একটা ফল পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মধ্যবাড্ডার পোস্ট অফিস গলিতে হায়দার ডিজিটাল ডেন্টাল ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলা থেকে লিজার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর