বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর পাল্টে গেছে উত্তরাঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের চিত্র। সংবাদ প্রকাশের পরপরই সেখানে অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করাসহ অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে বেপরোয়া চাঁদাবাজির ঘটনাও।
গত ৩ মার্চ বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘সোনা পাচারের নিরাপদ রুট লালমনিরহাটের বুড়িমারী’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে বুড়িমারীর সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে দুই দফায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল বুড়িমারীতে ছুটে আসে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ মালামাল পাচার রোধে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের দেহ তল্লাশিসহ অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বুড়িমারী ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হোসেন জানান, পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পাসপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের সঙ্গে থাকা লাগেজ তল্লাশি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বন্দরে চাঁদাবাজিসহ সব অপকর্ম রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রহুল আমিন বাবুল জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরে অনিয়ম রুখতে প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবেন ব্যবসায়ীরা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, খুব শিগগিরই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আরও দুটি তদন্ত দল বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসছে।