শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে জিডি

রংপুরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা ভাঙচুর লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকায় একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এ ঘটনায় সান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক লুত্ফর রহমান লিমন বাদী হয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আজিজের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে মেডিকেল মোড় ব্যবসায়ী সমিতি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং হামলাকারীদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে এলাকার সব ওষুধের দোকান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সমিতির নেতারা। সান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইফতেখার ইলাহী শান্ত অভিযোগ করেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২০-২৫ জন যুবক সান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে ব্যবস্থাপক লুত্ফর রহমান লিমনের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা ব্যবস্থাপক লিমনকে মারধর এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে শেখ আসিফ নিজেকে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আবদুল আজিজ নিজেকে যুগ্ম সম্পাদক দাবি করে আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেও মারধর করেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আরেক পরিচালক ও মেডিকেল মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খন্দকার মারুফ ইলাহী আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে তারা একটি ইজিসি মেশিন এবং ব্যবস্থাপকের ড্রয়ার থেকে ২ লাখ টাকা লুট করে। পরে পুলিশ এসে হামলাকারীদের বাইরে বের করে নিয়ে যায়। সান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক, মেডিকেল মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি রংপুর শাখার সম্পাদক খন্দকার মারুফ ইলাহী বলেন করেন, এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মেডিকেল মোড় ব্যবসায়ী সমিতি রাতেই জরুরি সভা করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। এ ছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং হামলাকারীদের দল থেকে বহিষ্কার করা না হলে মেডিকেল মোড়ের ওষুধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন বলেন, মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দিন আগে সান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. ইলোরা দুর্ব্যবহার করেন। সে বিষয়টি জানতে আমরা সেখানে গেলে সান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীরা আমাদের আটকে রেখে মারধর করে। পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল মিঞা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। সান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পক্ষ থেকে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জিডি করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর