শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ভারতে স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকারে সায় আদালতের

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারতে নিরাময় অযোগ্য রোগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুতে অনুমতি দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে নাগরিকদের চাইলে ভবিষ্যতে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে থাকতে চান না— মর্মে উইল করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।  খবর বিডিনিউজ। আদালত একে ‘লিভিং উইল’ বলে বর্ণনা করেছে। তবে কে বা কারা স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিতে পারবে— সে বিষয়ে আদালত থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘কমন কজ’ নামে একটি এনজিওর আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেয়। পিটিশনে বলা হয়, ‘একজন ব্যক্তির নিজের শরীরের ওপর অত্যাচার প্রতিরোধের অধিকার নেই, এ কথা আপনি কীভাবে বলতে পারেন? বেঁচে থাকার অধিকারের মধ্যেই সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার অন্তর্নিহিত। যন্ত্রের সাহায্যে (ভেন্টিলেশন) কাউকে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা যায় না। একজন ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা।’ ওই পিটিশনের রায়ের শুরুতে বলা হয়, ‘মানুষের সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার আছে’। যদিও বিচারকরা এ ক্ষেত্রে চারটি আলাদা মত দিয়েছেন। তবে তারা সবাই ‘লিভিং উইল’-এর অনুমতি দেওয়া উচিত বলে একমত হয়েছেন। বলা হয়েছে, ‘যদি ভবিষ্যতে কোমায় চলে গেলে কেউ আর বেঁচে না থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তবে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তার জীবন টেনে নেওয়া উচিত নয়’। ‘লিভিং উইল’ কার্যকরের ক্ষেত্রেও আদালত থেকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা লিভিং উইল কার্যকরের অনুমতি দিতে পারবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি ‘কোমায়’ চলে যাওয়ার পর কোনো রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে নাকি উঠবে না, সে বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আর যদি কোনো রোগী ‘লিভিং উইল’ করে না যান এবং চিকিৎসকরা তার অসুস্থতা নিরাময় অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন; কিন্তু রোগী নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থায় না থাকেন, তবে তার কোনো স্বজন উচ্চ আদালতে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করতে পারবেন। ওই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মেডিকেল বোর্ডকে তলব করে স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন।

সর্বশেষ খবর