শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

গ্র্যান্ডমাদার হাউস লেক উন্মুক্ত

নাটোর প্রতিনিধি

গ্র্যান্ডমাদার হাউস লেক উন্মুক্ত

দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে নাটোরের উত্তরা গণভবনের গ্র্যান্ডমাদার হাউস লেক, রানী মহল, হরিণচূড়া ও আম্রকাননসহ ৮০ ভাগ জায়গা। একই সঙ্গে উত্তরা গণভবনের হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র সংগ্রহে প্রাসাদে একটি সংগ্রহশালারও উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে এসব স্থান উন্মুক্ত করার ঘোষণাসহ সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি উত্তরা গণভবনের ভিতরে হরিণচূড়ায় রাখা শ্যামা ও শ্যামল নামে ২টি হরিণ, তিথি ও মিথি নামে ২টি ময়ূর, মিঠু ও মন্টি নামে ২টি বানর ও বিভিন্ন পশু-পাখিসহ পুরো গণভবন অটোরিকশায় চড়ে পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইদুর রহমান, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. চিত্রলেখা নাজনীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মনিরুজ্জামান ভূঞা, সিভিল সার্জন আজিজুল ইসলাম, এডিএম রাজ্জাকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বানু, জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র ঊমা চৌধুরী জলি, নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিনসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা। রানী মহল ও আম্রকানন পরিদর্শন শেষে উত্তরা গণভবনের ভিতরের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পরিষদ সচিব। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, উত্তরা গণভবনে আগত দর্শনার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থান দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছিলেন। কিন্তু ব্যবস্থাপনাগত নানা সমস্যার কারণে গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটি এতদিন এসব স্থাপনা সংরক্ষিত রেখেছিল। যা আজ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। এতে উত্তরা গণভবনে দর্শনার্থীর সংখ্যা এখন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারের রাজস্বও বাড়বে। দর্শনার্থীরা এখানকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও বেশি করে জানবেন। উত্তরা গণভবনের হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। গণভবনকে আরও চিত্তাকর্ষক করার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, উত্তরা গণভবনের প্রাচীন স্থাপত্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান রেখে এ প্রাঙ্গণে এবং এর বাইরের অংশে পর্যটন উপযোগী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকসহ সব কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গণভবন প্রাঙ্গণের লেকে  বোটিং, লেকের চারপাশে ওয়ার্কিং পথ ও ওপরে ফুটওভার ব্রিজ এবং গণভবনের প্রবেশদ্বারের সম্মুখভাগে লেকসহ শিশুপার্ক, ৪২ কক্ষের গেস্ট হাউস, শপিং কমপ্লেক্স, সিনেপ্লেক্স, কনফারেন্স রুমসহ পর্যটন আকর্ষণীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। যার বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত শুরু করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর