শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঢাকায় বাড়িতে ইয়াবার খনি!

চার ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগ থানার মধুরবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে ‘ইয়াবা সম্রাট’ আলমসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। আলমের অন্য তিন সহযোগী হলেন— জসিম উদ্দিন (২৩), সালাউদ্দিন (২৭) ও মিজানুর রহমান (৩৩)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা বিক্রির ৮১ হাজার টাকা, ৭টি মোবাইল ফোন, ব্যবসায়ের তিনটি টালি খাতা জব্দ করা হয়। র‌্যাব জানায়, চিংড়ির পোনা, কটেজ ও জমি বিক্রির ব্যবসা করে উন্নতি করলেও অতি লোভে আলম একসময় ইয়াবা বিক্রি শুরু করেন। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান এনে কক্সবাজারের কলাতলীর শামীম গেস্ট হাউসে মজুদ রাখতেন। চার বছর ধরে এভাবেই দেশজুড়ে আলম ইয়াবার বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। জব্দ ইয়াবার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার-উজ-জামান বলেন, কক্সবাজারের কলাতলীতে চিংড়ি মাছের পোনা, কটেজ ও জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন ব্যবসা করতেন আলম। একসময় নতুন-পুরাতন গাড়ি বিক্রির ব্যবসাও করেছেন তিনি। ব্যবসায় উন্নতি করলেও অতি লোভে একসময় ইয়াবা বিক্রি শুরু করেন। মিয়ানমারের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ইয়াবার চালান এনে কক্সবাজারের কলাতলীর শামীম গেস্ট হাউসে মজুদ রাখতেন। এরপর নানা কায়দায় এসব চালান ঢাকায় আনতেন। এভাবেই দেশজুড়ে ইয়াবার বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ‘ইয়াবা সম্রাট’ বনে যান আলম।

র‌্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, নিজের রেন্ট-এ কার ব্যবসার আড়ালে গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় ইয়াবা সরবরাহ করতেন আলম। তিনি কখনো এক লাখের নিচে ইয়াবার চালান আনতেন না। এভাবেই চিংড়ির পোনার ব্যবসায়ী থেকে হয়ে ওঠেন ইয়াবা সম্রাট। আলমের ছোট ভাই জসিম উদ্দিনকে ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দেন এবং সেখানে ইয়াবাসেবীদের আড্ডা বসাতেন। এ ছাড়া ওই ফ্ল্যাট থেকেই পাইকারিতে ইয়াবা নিয়ে যেতেন খুচরা বিক্রেতারা। মূলত আলমের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই গ্রেফতারকৃত জসিম, সালাউদ্দিন ও মিজানুর ইয়াবা বিক্রিতে জড়িয়ে পড়েন।

কারখানার সন্ধান : কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, বুধবার রাতে কামরাঙ্গীরচরের ঝাউলাহাটির একটি বাড়ি থেকে তিন বোতল মদ, ইয়াবা তৈরির মেশিন, বিপুল পরিমাণ উপাদানসহ প্রস্তুতকৃত ১২৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ইমু আক্তার (২৪) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। বাড়ির মালিক শহীদুল্লাহ ও গ্রেফতারকৃত ইমুর স্বামী আলমগীর পরস্পর যোগসাজশে ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরি করে বিক্রি করতেন। তারা দুজনই পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর