শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কলেজছাত্রীর শরীরে ব্লেড দিয়ে নির্যাতন

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে সারা শরীর ব্লেড ও চাকু দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। একপর্যায়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আহতের পরিবারের দাবি, ঘরের সবাইকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে রাখায় তারা মেয়েটির চিৎকার শুনতে পাননি। বুধবার গভীর রাতে দৌলতখান উপজেলার কলাকোপা গ্রামের জমাদারবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ভোরে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তুহিন নামে প্রতিবেশী এক যুবককে আটক করেছে। গুরুতর আহত ছাত্রী ও তার স্বজনরা জানান, একই বাড়ির তুহিন ও জিন্নাদের সঙ্গে তাদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জিন্না (৩০) তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করা হতো। তাই ছাত্রীটি নিরাপত্তার স্বার্থে খালার বাড়ি গিয়ে পড়ালেখা করতেন। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে দুই দিন আগে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে পানি খেতে পাশের রুমে গেলে ওত পেতে থাকা জিন্না, তুহিন, পাবেলসহ কয়েকজন তার ওপর হামলে পড়েন। একপর্যায়ে তার চোখ-মুখ, হাত-পা বেঁধে তুলে নিতে চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটির সমস্ত শরীর ব্লেড ও চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। একপর্যায়ে দূরে কেউ একজন আসার শব্দ পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে খবর পেয়ে ভোলা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, প্রভাষক জামাল উদ্দিনসহ সহপাঠীরা গুরুতর আহত ছাত্রীটিকে দেখতে ভোলা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত অন্য দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর