মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
ডিএনসিসির সমন্বয় সভা

মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ এখন দুরূহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ বলতে যা বোঝায় তা এখনো দুরূহ বিষয়। তবে লোকবল সংকটসহ নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বর্ষা আসার আগেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মশক নিধনে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ডিএনসিসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আলোচকরা।

চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে মালিক সমিতি, কল্যাণ সমিতি, হাউজিং সোসাইটিকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে ডিএনসিসি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গনি। মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত ঢাকা শহরের কোন কোন স্থানে মশার প্রাদুর্ভাব বেশি সে-সংশ্লিষ্ট একটি জরিপ উপস্থাপন করেন ডিএনসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলী। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা দুই সিটি করপোরেশনের ৯৩টি ওয়ার্ডের ১০০ জায়গায় গত জানুয়ারিতে একটি জরিপ চালায়। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ১১ পয়েন্টে লার্ভা (মশার প্রজনন) বেশি। সভাপতির বক্তব্যে ওসমান গনি বলেন, ‘আমাদের জনবল কম। তার পরও যে জনবল ও যন্ত্রপাতি আছে তা দিয়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করে যাব। এছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ডিএনসিসি ২০ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সেবা সপ্তাহ পালন করবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩১৬টি হস্তচালিত, ২৩৯টি ফগার মেশিন ও ১০টি হুইল ব্যারো মেশিন দিয়ে ডিএনসিসির ২৮১ জন মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মী ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন লার্ভিসাইডিং (মশার প্রজনন স্থল) ও অ্যাডাল্টিসাইডিং (উড়ন্ত মশা নিধন) কার্যক্রম পরিচালনা করে। মতবিনিময় সভায় আলোচকরা মশা নিধনে পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে মশা নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম পন্থা সোর্স রিডাকশন, খাল-নর্দমার স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বজায় রাখা এবং জলাশয়-ডোবা পরিষ্কার রাখা, রাজউক-ওয়াসাকে সমন্বিতভাবে কাজ করা, নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ড্রেনের ওপরে অস্থায়ী অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ, বর্জ্য ও প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন নর্দমা পরিষ্কার করে পানির প্রবাহ সচল রাখার প্রস্তাব দেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র-২ জামাল মোস্তফা, প্যানেল মেয়র-৩ আলেয়া সরোয়ার ডেইজী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. জিনাত আলী প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর