বরিশালে ডিবিসির ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারের পদ থেকে উত্তম কুমার পালকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে উপকমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়াকে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, গত ১৩ মার্চ ডিবিসির ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানকে নির্যাতনের পর ১৪ মার্চ কনস্টেবল মাসুদুল হককে এবং ১৫ মার্চ অপর দুই কনস্টেবল চৌধুরী রাসেল পারভেজ ও মো. আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুনা লায়লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর গতকাল পুলিশ কমিশনার রুহুল আমীন ওই দলের অপর পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরা হলেন এসআই মো. আবুল বাশার, এএসআই মো. আক্তারুজ্জামান ও স্বপন চন্দ্র দে এবং কনস্টেবল কাজী সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া গতকাল ইতিপূর্বে দুই ধাপে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্যকে অপরাধের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিসের জবাব পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ দুপুরে নগরীর বিউটি রোড থেকে ক্যামেরাপারসন সুমনকে প্রকাশ্যে পেটাতে পেটাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, গাড়িতে নেওয়ার সময় তার অণ্ডকোষ চেপে ধরাসহ ব্যাপক নির্যাতন করে পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলে তাত্ক্ষণিক গোয়েন্দা পুলিশের ওই দলের আট সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে সুমন শেরেবাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনো শয্যাশায়ী তিনি। চিকিৎসকরা বলেছেন, সুমনের অণ্ডকোষে ব্যথা রয়েছে। ধীরে ধীরে এই ব্যথা উপশম হবে।