শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

সোহরাওয়ার্দীতে কাল জাপার সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পার্টির নেতারা। বিগ বাজেটের বিগ সমাবেশকে সফল করতে এক মাসেরও বেশি সময় থেকেই চলছে প্রস্তুতি। ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৮টি ও দক্ষিণের উদ্যোগে ২২টি পিকআপে মহাসমাবেশের প্রচার চলছে পুরোদমে। মঞ্চ তৈরি ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেট বানানো হচ্ছে ১০০টি। এর মধ্যে ভিআইপি টয়লেট পাঁচটি। এদিকে মহাসমাবেশ উপলক্ষে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আর পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে কমপক্ষে ৯০০ প্রার্থীর তালিকা রয়েছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৪ মার্চ ইউএনএ জোটের মহাসমাবেশ উপলক্ষে গতকাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়, সেকেন্দার আলী মনি, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, এম এ মতিন প্রমুখ। এদিকে মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর মাতুয়াইলে সমাবেশ করেছেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ। শ্যামপুর বালুর মাঠে সমাবেশ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এ ছাড়াও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার নেতৃত্বে পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করেছে জাতীয় কৃষক পার্টি। এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২৪ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। একই সঙ্গে আমরা দুটি দলের সফলতা ও ব্যর্থতা তুলে ধরব। এ সমাবেশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেই। পার্টির চেয়ারম্যান সম্ভাবনার কথা বলবেন, আশা করি মানুষ আস্থা নিয়ে ফিরে যাবেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমান সময়কে অত্যন্ত ‘কঠিন’ মন্তব্য করে বিরোধী দলের মহাসচিব বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ আমরা অতিক্রম করছি। মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক কৌশল।

তিনি বলেন, ২৭ বছর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সরকার ছিল ৯ বছর। তার শাসনামলে যে উন্নয়ন, সংস্কার, কল্যাণ-সেবা হয়েছে দেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল সেই কথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা দেশবাসীকে জানাব। মানুষের বিবেক আগামী নির্বাচনে রায় দেবে জাতীয় পার্টির পক্ষে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কারণ আমাদের সময় খুন, গুম, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্যসহ অসহনীয় পরিস্থিতি ছিল না।

জাপা সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতেই বিগ শোডাউন দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে বুকিং দেওয়া হয়েছে একাধিক ট্রেন, লঞ্চ। জেলাপর্যায়ের নেতারাও বাস রিজার্ভ করে রেখেছেন। এবারই প্রথম দেশের সব থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সমাবেশে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে দলটি।

সর্বশেষ খবর