মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
মা-ছেলে খুনের ঘটনা

স্বামীসহ গ্রেফতার সেই তানিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট নগরীর মিরাবাজার খাঁরপাড়ায় মা ও ছেলে খুনের মামলায় মূল সন্দেহভাজন তানিয়া আক্তারকে স্বামীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল ভোরে কুমিল্লার তিতাস থানার ঘোষকান্দি গ্রামের বাড়ি থেকে তানিয়াকে ও আগেরদিন বিকালে বন্দরবাজার থেকে তার স্বামী ইউসূফ মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। তানিয়া গ্রেফতার হওয়ায় এ জোড়া খুন ঘটনার রহস্য অচিরেই উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক। জোড়াখুনের ঘটনার পর থেকে তানিয়াকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। তানিয়া একসময় রোকেয়ার (নিহত) সঙ্গে একই বাসায় থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুসপ্তাহ আগে মনমালিন্যের জের ধরে তানিয়াকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন রোকেয়া। এ ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন যুবক পাঠিয়ে রোকেয়ার বাসায় হামলাও চালানো হয়েছিল।  এদিকে গতকাল দুপুরে নগরীর উপশহরে পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম মল্লিক জানান, মিরাবাজারের জোড়াখুনের ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে তানিয়া আক্তারকে।

গত রবিবার বিকালে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে তানিয়ার স্বামী বিশ্বনাথের সারজন খাঁর ছেলে ইউসূফ মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানান, একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে তিনি চাকরি করেন। তানিয়ার দ্বিতীয় স্বামী তিনি। তানিয়ার প্রথম বিয়ের পাঁচবছরের একটি সন্তান রয়েছে। পিবিআই কর্মকর্তা জানান, তানিয়া তার গ্রামের বাড়ি ঘোষকান্দিতে অবস্থান করছেন- এ তথ্য পেয়েই পিবিআইয়ের একটি দল অভিযান চালায় এবং তাকে গতকাল ভোরে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।  তিনি আরও জানান, তানিয়াকে গ্রেফতার করতে পারায় মামলার তদন্তে গতি আসবে। বের হয়ে আসবে জোড়া খুনের আসল রহস্য। তদন্তে নিহত রোকেয়ার সঙ্গে তানিয়ার কী সম্পর্ক ছিল, কতদিন থেকে তিনি রোকেয়ার বাসায় থাকতেন- এসব বিষয় গুরুত্ব পাবে। তানিয়ার আগের পেশা কী ছিল, কোনো অপরাধীর চক্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে। মামুনের সঙ্গে তানিয়ার কতদিনের সম্পর্ক, এই হত্যাকাণ্ডে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তাও তদন্তের বিষয়। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দুপুরে নগরীর মিরাবাজার খাঁরপাড়ার মিতালী আবাসিক এলাকার একটি ভবনের নিচতলা থেকে রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রুকনের  লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রোকেয়ার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রাইসা বেগমকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই বাসায় তানিয়া থাকলেও হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি উধাও ছিলেন।

সর্বশেষ খবর