মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

দিনাজপুরে সজিনা চাষে লাভবান কৃষক

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে সজিনা চাষে লাভবান কৃষক

সাদা ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে সজিনার গাছ। দেখে মনে হবে শ্বেত পালক ছড়িয়ে বসে আছে কোনো সাদা ধবধবে বক পাখি। ফাল্গুনের শুরুতে ফোটে সজিনার ফুল। চৈত্র মাসে সজিনা খাওয়ার উপযোগী হয়। এ সময় থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় সজিনা। তবে কিছু বার মাসও পাওয়া যায়। সজিনা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও রোগ প্রতিরোধক। সজিনা গ্রামবাংলার মানুষের কাছে সুস্বাদু সবজি হিসেবে অতি পরিচিত। এখন শহরের মানুষের কাছেও প্রিয় একটি সবজি। তাই দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে এবং চাষিদের লাভও বাড়ছে। মৌসুমের প্রথম দিকে সজিনা বাজারে আসার সময় দাম আকাশচুম্বী থাকে। মৌসুমি সবজি হিসেবে সজিনা ডাঁটার সঙ্গে অন্য কোনো সবজির তুলনা হয় না। বিভিন্ন অঞ্চলে এ মৌসুমে সজিনা প্রচুর পরিমাণ হয়ে থাকে। কেউবা মুনাফার আশায় এ সবজির চাষ করে থাকে। শহর কিংবা গ্রামের রাস্তার পাশে এমনকি বাড়ির আনাচে-কানাচে কিংবা রাস্তার পাশে প্রতিটি গাছে বাদুড়ঝোলার মতো ঝুলছে সজিনা। নবাবগঞ্জের সাজেদুল ইসলাম জানান, সজিনার চাষ খুব সহজ। একটি গাছের ডাল মাটিতে পুঁতে রাখলেই এক বছরের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ গাছে পরিণত হয়।

অবহেলা আর অযত্নে বেড়ে ওঠা বাড়ির আনাচে-কানাচে এই গাছটি বেড়ে ওঠে। চলতি মৌসুমে জেলার প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে হয়েছে সজিনার গাছ। অনেকে আবার বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতেও চাষ করেছেন এই সবজি। সজিনা এখানকার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। সজিনা থেকে আয় হয় মোটা অংকের টাকা। সজিনা আবাদে কোনো বাড়তি খরচের প্রয়োজন হয় না। সজিনা একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং অর্থকরী ফসল। সজিনার পাতা ও সজিনায় প্রচুর আঁশ আছে। যা খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে। সেই সঙ্গে সজিনার পাতা ও ফল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই দিন দিন সজিনা গাছের কদর ও চাষাবাদ বেড়েই চলেছে। চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সজিনা।

সর্বশেষ খবর