বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
কক্সবাজারে ট্রাম্পের দূত

রোহিঙ্গারা ফিরতে চায়

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সব নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক  এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে ফিরে গিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমরা পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা যাতে ভোগ করতে পারে সেই দিকও খেয়াল রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রশ্নের জবাবে  রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে মিয়ানমার সরকারকে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। লুণ্ঠিত বাড়ি-ঘর, ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এসব সুবিধা দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা স্ব-ইচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যাবে। গতকাল দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন কালে  সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় বিশেষ দূতের সফর সঙ্গী বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বলেন, সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে ৫ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবার মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় পড়ে না।

বিশেষ দূত কুতুপালং ট্রানশিট ক্যাম্পে আশ্রিত হাসিনা, জাফর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী পুরুষের সঙ্গে একান্তে আলাপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এবং তারা সেখানে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সেখানকার রাখাইন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি অসংখ্য যুবক, যুবতী, শিশু, বৃদ্ধ লোকজন হত্যার শিকার হয়েছেন। ধষর্েণর শিকার হয়েছেন কিশোরী ও যুবতীরা। এর আগে বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক সকাল ১১ টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের কোনার পাড়া নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর