শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি-জামায়াত টানাপড়েন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী

আবদুল বারী, নীলফামারী

বিএনপি-জামায়াত টানাপড়েন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নীলফামারী-২ (সদর) নির্বাচনী এলাকাজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। নিলফামারী-২ আসনে এখন সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নূর। তিনি দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী পদে রয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে লড়ার জন্য বিএনপির কেউ প্রকাশ্য না হলেও বসে নেই জামায়াত। ভিতরে ভিতরে শক্তি সঞ্চয় করছে দলটি। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি অন্য আসনগুলোতে প্রার্থী দিলেও জেলার এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে কোনো নেতা এখনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। এ আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। এ আসনে তিনিই একক প্রার্থী হবেন। নিয়মিত গণসংযোগ, দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার রয়েছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। নৌকার প্রতীক নিয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য বর্তমান সংস্কৃতিমন্ত্রী এবারও মনোনয়ন চাইবেন।

দলীয় কোন্দল থাকায় আশঙ্কা করা হয়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ না কেউ ঘরের শত্রু বিভীষণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত জোটগত নির্বাচন হলে বেকায়দায় পড়তে পারে আওয়ামী লীগ। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। দলীয় কোন্দলের কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের পরাজয় ঘটে। এরপর ওই দুই নেতা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নামেন।  ২০০৮ সালের নির্বাচনে জোটের পক্ষে আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী ছিল। জামায়াতের প্রার্থী পরপর তিনবার পরাজিত হওয়ায় এবার এ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কাউকে মনোনীত করার জোর দাবি জানাচ্ছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তবে ২০ দলীয় জোটের প্রধান দুই শরিক দল বিএনপি ও জামায়াতে রয়েছে টানাপড়েন। এ আসনে জামায়াত ও বিএনপি কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান একক প্রার্থী হলেও জোটের শরিক জামায়াতের জেলা নায়েবে আমিরের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা কিছুটা বেকায়দায় ফেলেছে বিএনপিকে। শেষ মুহূর্তে জোটের প্রধান এই দুই দলের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে এর একক সুফল পাবে আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনের মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না এই দুই দল।  জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান জামান বলেন, “এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বারবারই পরাজিত হয়েছেন। এবারও তাদের ছেড়ে দিলে এ আসনটি হারাতে হবে। বর্তমানে এ আসনে জামায়াতের চেয়ে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। যে কোনো সময়ের চেয়ে বিএনপির ভোট বেড়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর কোনো বিকল্প নেই।” জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, “জোটগত নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ আসনটি সবসময় জামায়াতের ছিল। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি নির্বাচন করব।”

সর্বশেষ খবর