মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

থাই পণ্য নিয়ে মেলা

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে : তোফায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক

থাই পণ্য নিয়ে মেলা

থাইল্যান্ডের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে থাই মেলা। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ মেলা শুরু হয়। চার দিনব্যাপী মেলা উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, থাইল্যান্ডের মিনিস্টার কাউন্সিলর (কমার্শিয়াল) সুবসাক ডঙ্গবুন রুয়াং, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুয়ানাপোন, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।

শুরুর দিনে মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, কাপড়, ফল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, শিল্প কারখানার যন্ত্র, খাদ্য, কোমল পানীয়, প্রসাধনী, স্বাস্থ্যসেবা, গার্মেন্টস ও ফ্যাশন সামগ্রী, জুয়েলারি, শিশুদের পণ্য,  উপহার সামগ্রী, গৃহস্থালি ও আনুষঙ্গিক পণ্য। তবে এ মেলায় শুধু থাই পণ্য নয়, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে অংশ নিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। মেলায় থাইল্যান্ডের ৪৫টি এবং বাংলাদেশের ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষ যান। এ জন্য মেলায় স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট সেবা দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসেছে। তারা ভিসা থেকে শুরু করে থাইল্যান্ডে থাকাসহ সব ধরনের সেবা দিচ্ছে। আছে বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট প্রতিনিধিরা। থাইল্যান্ডে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল নিয়ে অংশ নিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডে ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তুলনামূলক দাম কম। এজন্য এদেশের মানুষ থাইল্যান্ডের ফল পছন্দ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন ফলও আছে মেলায়। এর মধ্যে আম একটি অন্যতম ফল। মেলায় আসা এমন একটি স্টলে গিয়ে দেখা গেছে ল্যাংড়া আমের মতো দেখতে পুরোপুরি কাঁচা আম। কিন্তু কাঁচা হলেও এই আম পাকা আমের মতই মিষ্টি। মেলায় রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন টেক্সটাইল পণ্য। বাংলাদেশে শাড়ি, থ্রিপিছের চাহিদা রয়েছে। থাই কাপড়ের দামও তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। মেলার আয়োজকরা জানান, থাইল্যান্ড উইক ২০১৮ রয়্যাল থাই সরকারের একটি স্বতন্ত্র প্রচেষ্টা, যা উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুযোগ-সুবিধা প্রসারিত করতে এবং যেসব বাংলাদেশি নাগরিক এখনো থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেননি তাদেরকে থাই পণ্য সম্পর্কে ধারণা দিতেই এ আয়োজন।  এ মেলা আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে : রপ্তানি বাড়াতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, উভয় দেশ এ বিষয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড এফটিএ স্বাক্ষর করবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশকে ৬৯৯৮টি পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে থাইল্যান্ড। ইতিমধ্যে পাটজাত পণ্য এবং তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি অথবা ন্যূনতম ডিউটি সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ড বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। থাইল্যান্ডের ভিসা পদ্ধতি সহজ করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর পর্যটন, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ এবং ব্যবসার উদ্দেশে থাইল্যান্ড সফর করেন। ভিসা পদ্ধতি সহজ করার জন্য থাই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর