দুদকের রিমান্ডে থাকা নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম নাজমুল হক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গতকাল এক দিনের রিমান্ড শেষে নাজমুল হককে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুদক।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা নৌপ্রধান প্রকৌশলী এম নাজমুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১২ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন রেস্তোরাঁ থেকে নাজমুল হককে ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার করে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন একটি দল। পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ  দেন। এরপর গত ১৮ এপ্রিল নাজমুল হকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরদিন শুনানি শেষে আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুদক সূত্র জানায়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামে যাত্রীবাহী  নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্রের জন্য কর্তৃপক্ষ নাজমুল হকের কাছে  গেলে তিনি ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দুদককে জানায়। এরপর দুদক সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয়। গত ১২ এপ্রিল বিকালে ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ ৫ লাখ টাকা রাজধানীর সেগুন রেস্তোরাঁয় গ্রহণ করার সময় ওতপেতে থাকা দুদকের বিশেষ দলের সদস্যরা তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। ওই দিন রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে এ বিষয়ে মামলা করেন।