রবিবার, ৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফুলেল শুভেচ্ছায় সেলিনা হোসেন

মঞ্চে ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

ফুলেল শুভেচ্ছায় সেলিনা হোসেন

গতকাল মঞ্চায়ন হয় ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস

চলতি বছর রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেছে প্রকৃতিবিষয়ক সংগঠন তরুপল্লব। গতকাল রাজধানীর খামারবাড়ীর আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিল্কী মিলনায়তনেএ লক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক বিপ্রদাশ বড়ুয়া, কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ ও ফরিদ আহমদ, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন। অনুষ্ঠানে সেলিনা হোসেন নিজের সাহিত্যচর্চা ও অনুপ্রেরণার গল্প শোনান।

অনুভূতি প্রকাশে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আমি দুটো জিনিসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি। একটা আমার শৈশব, কৈশোরের সোনালি সময়। আমি বগুড়ার করতোয়া নদীর তীরে বেড়ে উঠেছি। পঞ্চাশের দশকে সেখানকার অবারিত প্রকৃতি, নদী, খাল, বিল, গাছপালার সৌন্দর্যের ছোঁয়া পেয়েছি। শৈশবের দুরন্তপনার কারণে প্রকৃতি আমার মধ্যে স্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি সেই সময় আমি দেখেছিলাম মানুষের দারিদ্র্য, কষ্ট এবং নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্ক। এসব আমার লেখার অনুপ্রেরণার উৎস।’

শব্দাবলির ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’ : শব্দাবলি বরিশালের প্রযোজনায় শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। মার্কিন নাট্যকার ‘ইউজিন ও নীল’-এর সাড়া জাগানো উপন্যাস অবলম্বনে কবীর চৌধুরী অনূদিত এই নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ফজলুর রহমান পলাশ।

‘এই তো জীবন এই তো মাধুরী’ শিরোনামের আবৃত্তির আসর : আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘এই তো জীবন এই তো মাধুরী’ শিরোনামের নিয়মিত কবিতা পাঠের আসর।

গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনের এই আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেন মৌমিতা জান্নাত, জালাল উদ্দিন হীরা ও দিলসাদ জাহান পিউলী।

এর মধ্যে মৌমিতা জান্নাত আবৃত্তি করেন শুভদাস গুপ্তের ‘আমি সেই মেয়ে’ বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাঁওতাল মেয়েদের গানের কবিতা ‘তিন পাহাড়ের স্বপ্ন’, বুদ্ধদেব বসুর ‘চিল্কায় সকাল’, রবীন্দ্রনাথের তিনটি কবিতা ‘ভুল স্বর্গ’, ‘মেঘদূত’ ও ‘যদি তোমায় দেখা না পাই প্রভু’। জালাল উদ্দিন হীরা আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথের ‘রূপ-রানানের কূলে’, ‘অপমানিত’, ‘পরিচয়’ ও ‘অন্তর মম বিকশিত করো’, কাজী নজরুলের ‘বাংলাদেশ’, আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরীর ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’, শামসুর রাহমানের ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘মুছে ফ্যালো মিছে অশ্রু তোমার’, জীবনানন্দ দাশের ‘অদ্ভুত আঁধার এক’, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ‘সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি’, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ‘জার্নাল ১৯৭১’ ও হেলাল হাফিজের ‘যাতায়াত’। সবশেষে দিলসাদ জাহান পিউলী মঞ্চে আসেন। তিনি আবৃত্তি করেন আহসান হাবীবের ‘প্রদক্ষিণ’ ও ‘আমি আছি’, মৃন্ময় মিজানের ‘নীরার শেষ চিঠি’, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘যখন বৃষ্টি নামলো’, সুবোধ সরকারের ‘অঞ্জলির কথা’, রফিক আজাদের ‘প্রতীক্ষা’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘পরাণের গহীন ভিতর-৪’, নির্মলেন্দু গুণের ‘দণ্ডকারণ্য’ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিদায়’।

সর্বশেষ খবর