শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিশেষজ্ঞ অভিমত

ক্রপিং সিজন পরিবর্তনে ক্ষতি বাড়ছে

—ড. হাফিজা খাতুন

আকতারুজ্জামান

ক্রপিং সিজন পরিবর্তনে ক্ষতি বাড়ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, এখন ক্রপিং (ফসলের) সিজন পরিবর্তন হয়েছে। আগে একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটা ফসল থাকত মাঠে। মাঠে কাজ করতে গেলেও হয়তো তখন বজ পাত হতো না। আর যখন বজ পাত হতো তখন হয়তো কৃষক মাঠে থাকত না। কারণ সব সময় মাঠে ফসলও থাকত না। মাঠে যাওয়ারও প্রয়োজন হতো না। এখন জনসংখ্যা বেড়ে গেছে। সারা বছরই একের পর এক ফসল হচ্ছে। মাঠে সারা বছরই কাজ করছে মানুষ। এ জন্যই বজ পাত হলেই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ অধ্যাপক আরও বলেন, জমি পতিত থাকছে না। মাঠে কাজ করতে গিয়ে তারা বজ পাতের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া আগে বড় বড় গাছ ছিল। বজ পাত থেকে গাছগুলো আমাদের রক্ষা করত। এখন গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তাই এর শিকার হচ্ছে মানুষ। গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ পাত হয় সুনামগঞ্জে। হাওরে। যেখানে গাছ-গাছালি  নেই। প্রটেকশন নেই। এ ছাড়া আগে ভবনগুলোতে বজ পাত নিরোধক ব্যবস্থা ছিল। বজ  পড়লে ধাতব দণ্ড তা টেনে মাটির নিচে নিয়ে যেত। এখন ভবনগুলোতে এই ব্যবস্থাগুলো রাখা হচ্ছে না।

ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বজ পাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঘর থেকে বের হলে সতর্ক থাকতে হবে। আর এ দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা চাইলে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর